শ্রীমদ্ভাগবত সপ্তম স্কন্ধ (Srimad Bhagavatam Saptam Skandha )
Author: কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ
Description
এই ‘শ্রীমদ্ভাগবত’ হচ্ছে এক বহু খণ্ড সমন্বিত সর্বোত্কৃষ্ট দার্শনিক মহাকাব্য তথা পুরাণগ্রন্থ (অমলপুরাণ বা মহাপুরাণ)। ভারতবর্ষের সমস্ত লিপিবদ্ধ জ্ঞান-ভাণ্ডারের তালিকায় এই পুরাণ এক মহিমামণ্ডিত আসনে অধিষ্ঠিত। ভারতের সনাতন জ্ঞান প্রাচীন সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদ নামক গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। মানবিক জ্ঞানের সমস্ত ক্ষেত্রই এই বেদের অন্তর্ভুক্ত। মূলত শ্রৌতপন্থায় এই জ্ঞান সংরক্ষিত হত। ‘ভগবানের শক্ত্যাবেশ অবতার’ শ্রীল ব্যাসদেবই সর্বপ্রথম এই বেদকে গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করেন। বেদ রচনার পর, বেদের অন্তর্নিহিত সারমর্মকে শ্রীমদ্ভাগবতরূপে উপস্থাপিত করার জন্য শ্রীল ব্যাসদেবের গুরুদেব তাঁকে অনুপ্রাণিত করেন। বৈদিক শাস্ত্র-বৃক্ষের সুপক্ব ফল (নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলম্) রূপে পরিচিত এই শ্রীমদ্ভাগবত হচ্ছে বৈদিক জ্ঞানের সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ ও প্রামাণিক ভাষ্য। শ্রীমদ্ভাগবত রচনা করার পর, শ্রীল ব্যাসদেব এইটি তাঁর পুত্র শ্রীল শুকদেব গোস্বামীকে শিক্ষা দেন। পরবর্তীকালে পবিত্র গঙ্গানদীর তীরে ঋষিদের এক সমাবেশে শ্রীল শুকদেব গোস্বামী মহারাজ পরীক্ষিতের কাছে এই শ্রীমদ্ভাগবত কীর্তন করেন। যদিও মহারাজ পরীক্ষিত ছিলেন একজন মহান রাজর্ষি এবং সমগ্র পৃথিবীর সম্রাট, তবুও তিনি যখন জানলেন যে, সাতদিনের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হবে, তখন তিনি তাঁর সমগ্র সাম্রাজ্য ত্যাগ করেন এবং পারমার্থিক আলোকের সন্ধানে গঙ্গার তীরে প্রয়োপবেশন করেন। আত্মার স্বরূপ থেকে শুরু করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের উত্স সম্পর্কে মহারাজ পরীক্ষিতের সমস্ত প্রশ্ন এবং শ্রীল শুকদেব গোস্বামী প্রদত্ত অজ্ঞান অন্ধকারনাশক উত্তরগুলিই হচ্ছে শ্রীমদ্ভাগবতের ভিত্তি। ভাগবতের এই সংস্করণটি শ্রীল প্রভুপাদের বিশদ ও বিদগ্ধ ভাষ্য সমন্বিত ইংরেজী সংস্করণের পূর্ণাঙ্গ বঙ্গানুবাদ। কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ হচ্ছেন নিঃসন্দেহে ভারতের সনাতন ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ আচার্য ও দার্শনিক। এই গ্রন্থটি তাঁরই সুগভীর পাণ্ডিত্য এবং শুদ্ধ ভক্তিমূলক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতি। সংস্কৃত ভাষায় তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য এবং বৈদিক সংস্কৃতি সম্বন্ধে তাঁর সুগভীর উপলব্ধি–এই উভয়ের সমন্বয়ের ফলে ইতিমধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মূল ইংরেজী সংস্করণটি সমস্ত বিশ্বে ইংরেজী ভাষাভাষী পাঠকদের কাছে এক অতি উত্কৃষ্ট ব্যাখ্যারূপে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর বহু ভাষায় অনূদিত হয়ে বিভিন্ন ভাষাভাষী পাঠকদের কাছেও গ্রন্থটি বিপুলভাবে সমাদৃত হচ্ছে। মূল গ্রন্থটির উপস্থাপনায় এক অতি চমত্কার বোধগম্য ধারা অবলম্বন করা হয়েছে–প্রথমে সংস্কৃত মূল শ্লোক, ইংরেজী পাঠকদের উপযোগী রোমান হরফে উচ্চারণ নির্দেশিকা (বাংলা অনুবাদে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে), প্রতিটি শব্দের অর্থ, অপূর্ব মাধুর্যপূর্ণ প্রাঞ্জল অনুবাদ এবং সবশেষে রয়েছে বিশদ ও সহজবোধ্য তাত্পর্য ব্যাখ্যা। ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত এই বহু খণ্ড সমন্বিত অপূর্ব গ্রন্থটি পণ্ডিত, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পাঠকের কাছেও একই রকমভাবে হৃদয়গ্রাহী হবে এবং আধুনিক মানুষের বৌদ্ধিক, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনে এক সুদূরপ্রসারী ভূমিকা গ্রহণ করবে–এই কথা সুনিশ্চিত। কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের ‘শ্রীমদ্ভাগবত’ সম্বন্ধে সমালোচকেরা যা বলেন — “ইদানিং শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের রচিত শ্রীমদ্ভাগবতের চমত্কার সংস্করণটি পাঠ করে আমি মহা আনন্দ লাভ করেছি। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে, এই সুবিশাল গ্রন্থটি বহু পাশ্চাত্যবাসীর কাছে শ্রীমদ্ভাগবতের মহিমান্বিত বাণী বহন করে নিয়ে যাবে। এই গ্রন্থ প্রকাশিত না হলে আমরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতাম।” ডঃ এলেক্স ওয়েম্যান সংস্কৃত ভাষার অধ্যাপক কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় “এই শ্রীমদ্ভাগবত বহু রকমের পাঠকদের কাছে বহু বিষয়ের এক মূল্যবান উত্স স্বরূপ। দর্শন-তত্ত্বের একজন বাস্তব অনুগামী এবং পণ্ডিত ব্যক্তির রচিত ব্যাপক ভাষ্য-সমন্বিত এই গ্রন্থটি এক সামগ্রিক পরিকল্পনা অনুসারে যেভাবে মূল সংস্কৃত শ্লোক, রোমান উচ্চারণ নির্দেশিকা, প্রতিটি সংস্কৃত শব্দের ইংরেজী সমার্থক শব্দ এবং ইংরেজী অনুবাদসহ উপস্থাপিত করা হয়েছে, তাতে নিষ্ঠাবান শিক্ষার্থী এবং ধর্ম ও দর্শন অনুরাগী পণ্ডিতেরা আকৃষ্ট না হয়ে পারেন না। এই ধারাবাহিক বহু খণ্ড সমন্বিত গ্রন্থটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উপযোগী প্রামাণিক নির্দেশিকা হিসাবে পাঠ করার পরামর্শ আমি সকলকেই দিয়ে থাকি।” অধ্যাপক সি.পি. আগরওয়াল সভাপতি, মানবিক বিভাগ মিসিগান বিশ্ববিদ্যালয় “ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট প্রকাশিত নতুন অনুবাদ ও ভাষ্য-সমন্বিত ভারতের বিখ্যাত ধর্মগ্রন্থগুলি পারমার্থিক ভারত সম্বন্ধে আমাদের ক্রমবর্ধমান জ্ঞান অর্জনের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। শ্রীমদ্ভাগবতের নতুন সংস্করণটিকে আমরা বিশেষভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।” ডঃ জন এল. মিশ প্রাচ্য বিভাগের প্রধান নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরী
Sample Audio