পঞ্চতত্ত্বরূপে ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (Panchatattvarupe Bhogoban Sri Chaitanya Mahaprabhu)
Author: কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ
Description
‘কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন’ শুরু হয়েছিল আজ থেকে পাঁচশ’ বছর পূর্বে, যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু রূপে আবির্ভূত হয়ে ভারত উপমহাদেশকে ‘হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র’ — হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে / হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে — কীর্তনের দ্বারা প্লাবিত করেছিলেন। প্রকৃত ভগবত্-প্রেম যে কি, সেই গূঢ় তত্ত্ব উন্মোচিত করার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আজ থেকে প্রায় পাঁচশ’ বছর পূর্বে তাঁর পরম ভক্তের ভাব অবলম্বন করে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু রূপে এই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু রূপে আবির্ভূত হন, তখন তাঁর অভিন্ন প্রকাশ ব্রজের শ্রীবলদেব শ্রীমন্নিত্যানন্দ স্বরূপে অবতীর্ণ হয়ে মহাপ্রভুর সংকীর্তন যজ্ঞে মুখ্য ভূমিকা অবলম্বন করেছিলেন পতিত উদ্ধার ও নাম-প্রেম বিতরণের মাধ্যমে। মহাবিষ্ণু বা কারণোদকশায়ী বিষ্ণু, যিনি এই জড় জগতের প্রকাশ ও বিস্তার করেন, তিনিই শ্রীঅদ্বৈত প্রভু রূপে প্রকটিত হয়ে মহাপ্রভুর লীলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, তাঁরই আবেদনে, তাঁরই ঐকান্তিক প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই জগতে অবতীর্ণ হয়ে তাঁর অসমোর্ধ্ব লীলার প্রকাশ করেছেন। আর শ্রীগদাধর পণ্ডিত প্রভু হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূল শক্তি-তত্ত্ব, তাঁর আনন্দ বিধানকারী শ্রীমতী রাধারাণীর সাক্ষাৎ প্রকাশ। তিনিও মহাপ্রভুর লীলায় তাঁর প্রীতির অনুকূলে সর্বতোভাবে সহায়তা করে মুখ্য ভূমিকা অবলম্বন করেছেন। আর শ্রীবাস ঠাকুর হলেন ভগবানের পরম ভক্ত নারদ মুনির অবতার, যিনি মহাপ্রভুর অত্যন্ত প্রিয় পার্ষদ এবং যাঁর গৃহ মহাপ্রভুর সংকীর্তনের মূল কেন্দ্র। এইভাবে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, প্রভু নিত্যানন্দ, শ্রীঅদ্বৈত, গদাধর, শ্রীবাসাদি পঞ্চতত্ত্বরূপে এই কলিযুগে করুণাবশত অবতীর্ণ হয়ে পরমেশ্বর ভগবান যুগধর্ম শ্রীহরিনাম সংকীর্তনের প্রবর্তন করে এবং তাঁর অপ্রাকৃত লীলাবিলাসের মাধ্যমে তাঁর উন্নত ও উজ্জ্বল রসস্বরূপ স্বীয় ভক্তি-সম্পদ দান করে এই জগতের অশেষ কল্যাণ বিধান করেছেন। জগদ্গুরু শ্রীল প্রভুপাদ “পঞ্চতত্ত্বরূপে ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু” নামক এই গ্রন্থে সেই তত্ত্বই প্রতিপাদন করেছেন।
Sample Audio